সারা দেশে বাংলাদেশ রেলওয়ের অবৈধ দখলকৃত সম্পত্তি উদ্ধার করা হবে। ইতিমধ্যে রেলের যায়গা উদ্ধারে অভিযান চলছে। আমার নিজ শহর রাজবাড়ীর পাংশা থেকে উদ্ধার অভিযান শুরু হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ‘ঢাকায় একেকটি জমির দাম শত শত কোটি টাকা। বঙ্গবাজার জমিটি রেলের। ঢাকায় এমন ১১ টি জমির ওপরে একটি শায়ত্বশাসিত সংস্থা মার্কেট নির্মাণ করছে। এতদিন এ বিষয়টি কেউ দেখেনি। আমি মন্ত্রী হওয়ার পর প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলে মার্কেটগুলোর কাজ বন্ধ করে রেখেছি। আমার কথা হলো রেলের জমি আপনারা ভোগ করেন। কিন্তু লিজ নিয়ে ভোগ করেন। আমাদের তাতে কোনো আপত্তি নেই। কিন্তু আপনারা ভুয়া কাগজপত্র বানিয়ে রেলের জমি ভোগদখল করবেন, তা হবে না। আর যদি কেউ তা করেন তার বিরূদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে রেল কর্তৃপক্ষ।
শনিবার (১৬ মার্চ) দুপুরে রাজবাড়ী জেলার পাংশা উপজেলা পরিষদের হলরুমে রেলের জমি থেকে অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ বিষয়ে রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, স্থানীয় প্রশাসন ও বাসিন্দাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
পাংশা উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত মতবিনিময় সভায় পাকশী রেলওয়ে বিভাগীয় ব্যবস্থাপক (ডিআরএম) শাহ সুফি নূর মোহাম্মদ, পাকশী বিভাগীয় ভ‚-সম্পত্তি কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মো. নূরুজ্জামান, রাজবাড়ী রেলওয়ের সহকারী নির্বাহী প্রকৌশলী (এইএন) মো. হাবিবুর রহমান, পাংশা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ জাফর সাদিক চৌধুরী, রাজবাড়ী জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এ.কে.এম শফিকুল মোর্শেদ আরুজ, পাংশা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফরিদ হাসান ওদুদ, কালুখালী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলিউজ্জামান চৌধুরী টিটো, পাংশা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) স্বপন কুমার মজুমদার সহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।