আলিম পরীক্ষায় পা দিয়ে লিখে জিপিএ ৪.৫৭ পেয়ে কৃতিত্বের সঙ্গে উত্তীর্ণ হয়েছেন মেধাবী শিক্ষার্থী হাবিবুর রহমান হাবিব। বুধবার (৮ফেব্রæয়ারী) দুপুর ১ টার দিকে এ তথ্য জানান মাদরাসার অধ্যক্ষ সাঈদ আহম্মেদ।
হাবিব রাজবাড়ী কালুখালী উপজেলার মৃগী ইউনিয়নের হিমায়েতখালি গ্রামের কৃষক আব্দুস সামাদের ছেলে। হাবিব পাংশা উপজেলার পুঁঁইজোর সিদ্দিকিয়া ফাজিল (ডিগ্রি) মাদরাসা থেকে এবার আলিম (এইচএসসি) পরীক্ষায় অংশ নিয়ে উত্তীর্ণ হন।
জানা যায়, দরিদ্র কৃষক পরিবারের সন্তান হাবিবুর রহমান। চার ভাই বোনের মধ্যে তৃতীয় হাবিব। দুই বোনের বিয়ে হলেও পরিবারে আছে ছোট বোন। সেও পড়াশোনা করছে। জন্মলগ্ন থেকেই হাবিবের দুই হাত নেই। ছোট বেলায় বাবা-মা, চাচা ও পরিবারের অন্যদের অনুপ্রেরণায় পা দিয়ে লেখার অভ্যাস করেন হাবিব।
কালুখালী উপজেলার মৃগী ইউনিয়নের হিমায়েতখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে পা দিয়ে লিখে পিএসসি পরিক্ষায় ৪.৬৭ পেয়ে পাস করেন। পুঁইজোর সিদ্দিকিয়া ফাজিল (ডিগ্রি) মাদরাসা থেকে জেডিসি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে ৪.৬১ পেয়ে পাস করেন। একই মাদরাসা থেকে ২০১৯ সালে দাখিল (এসএসসি) পরীক্ষায় অংশ নিয়ে জিপিএ-৪.৬৩ পান হাবিব।
হাবিবুর রহমান জানান, খুব কষ্ট করে পড়াশোনা চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি। আশা ছিল আলিম পরীক্ষায় জিপিএ ৫ পাবেন। কিন্তু পেয়েছেন ৪.৫৭। তারপরও আমি খুশি হয়েছেন। তিনি আরোও জানান, আগামীতে তার লক্ষ্য ইসলামী ইউনির্ভাসিটিতে ভর্তি হওয়ার। পড়াশুনা করে জীবনে প্রতিষ্ঠিত হয়ে অসহায় পরিবারের পাশে দাঁড়াতে চান হাবিব। এ জন্য সবার সহযোগিতা প্রয়োজন।
পুঁঁইজোর সিদ্দিকিয়া ফাজিল মাদরাসার অধ্যক্ষ সাঈদ আহম্মেদ বলেন, দরিদ্র পরিবারের সন্তান হাবিব। তবে সে অত্যন্ত মেধাবী। ফলে প্রতিবন্ধকতাকে হার মানিয়ে এবারের আলিম পরীক্ষায় জিপিএ ৪.৫৭ পেয়েছেন। পা দিয়ে লিখে এরকম ফলাফল অর্জন করা সত্যিই কষ্টসাধ্য ব্যাপার। হাবিবের পড়াশুনা চালিয়ে যেতে মাদরাসা ও ব্যক্তিগতভাবে সহযোগিতা করেছেন এবং আগামীতে উচ্চ শিক্ষা লাভের ক্ষেত্রেও সহযোগিতা করবেন বলে জানান তিনি।