Newsun24

Most Popular Newsportal

আন্তর্জাতিক করোনা ভাইরাস

করোনায় মৃত্যু ২ লাখ ছাড়াল, যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় ৫২ হাজার

অনলাইন ডেস্ক, নিউসান টয়েন্টিফোর ডট কম:

প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) আক্রান্ত হয়ে সারাবিশ্বে মৃতের সংখ্যা ২ লাখ ছাড়িয়েছে।

মৃত্যুর মতো আক্রান্তের সংখ্যায়ও বিশ্বে শীর্ষে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। মোট কোভিড-১৯ রোগীর এক-তৃতীয়াংশই ওই দেশটির নাগরিক।

বিপর্যস্ত যুক্তরাষ্ট্রে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৯ লাখ ১৯ হাজার; আর মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫২ হাজার। দেশটিতে আক্রান্তদের মধ্যে ৫ দশমিক ৭ শতাংশেরই মৃত্যু ঘটেছে।

যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বিপর্যয়কর অবস্থা নিউ ইয়র্কে; শুধু এই শহরেই মৃতের সংখ্যা ১৬ হাজারের বেশি।
যে দুই লাখের মৃত্যু ঘটিয়েছে করোনাভাইরাস, তার অর্ধেকের বেশি মানুষ ইউরোপের।

তবে মৃতের সংখ্যায় যুক্তরাষ্ট্রের পর এখনও রয়েছে ইতালি, স্পেন ও ফ্রান্স। তারপরই যুক্তরাজ্যের অবস্থান। এর পরে রয়েছে বেলজিয়াম, জার্মানি, ইরান, চীন ও নেদারল্যান্ডস।

গত ১১ জানুয়ারিতে করোনায় প্রথম মৃত্যু হয়েছিল। এর প্রায় তিন মাস পর গত ১১ এপ্রিল বিশ্বে মৃতের সংখ্যা ১ লাখ ছাড়ায়। এর মাত্র ১৫ দিনের মধ্যেই আরও ১ লাখ মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়ে প্রাণ হারালেন।

জনস হপকিন্স ইউনিভার্সিটির তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ২৮ লাখের বেশি মানুষ। মারা গেছেন ২ লাখ ৬৯৮, সুস্থ হয়েছেন ৮ লাখ ৩ হাজার জন।

ইউরোপের সর্বোচ্চ আক্রান্ত দেশ স্পেনে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ২ লাখ ২৩ হাজার ৭৫৯। মারা গেছেন ২২ হাজার ৯০২ জন।

ইউরোপের আরেক দেশ ইতালিতে মোট আক্রান্ত হয়েছেন ১ লাখ ৯২ হাজার ৯৯৪ জন, মারা গেছেন ২৫ হাজার ৯৬৯ জন।

গতবছর ডিসেম্বরের শেষদিকে চীনের উহান শহরে প্রথম কোভিড-১৯ এর প্রাদুর্ভাব দেখা যায়। মাত্র পাঁচ মাসের মধ্যেই বিশ্বের ১৮৫টি দেশে ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়েছে। একবিংশ শতাব্দীতে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বড় মহামারি কোভিড-১৯।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) জানায়, আগের দুই করোনাভাইরাস সার্স ও মার্সের তুলনায় কোভিড-১৯ সংক্রমণের দিক থেকে অনেক বেশি শক্তিশালী।

ডব্লিউএইচও’র হিসাব অনুযায়ী, ২০০৩ সালে সার্স (সিভিয়ার অ্যাকুইটি রেসপিরেটরি সিনড্রোম) করোনাভাইরাসে মারা যান ৭৭৪ জন। মোট আক্রান্ত হয়েছিলেন ৮ হাজার ৯৮ জন।

অন্যদিকে, ২০১২ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত আরেক করোনাভাইরাস মার্সে (মিডল ইস্ট রেসপিরেটরি সিনড্রোম) মোট আক্রান্তের সংখ্যা ২ হাজার ৪৯৪, মারা গেছেন ৮৫৮ জন।

যে সব দেশে সর্বাধিক মৃত্যু

>> যুক্তরাষ্ট্র: মৃত্যু ৫১ হাজার ৯৪৯; আক্রান্ত ৯ লাখ ৭ হাজার ৯৬; মৃত্যুর হার ৫.৭ শতাংশ।

>> ইতালি: মৃত্যু ২৫ হাজার ৯৬৯; আক্রান্ত ১ লাখ ৯২ হাজার ৯৯৪; মৃত্যুর হার ১৩.৫ শতাংশ।

>> স্পেন: মৃত্যু ২২ হাজার ৯০২; আক্রান্ত ২ লাখ ২৩ হাজার ৭৫৯; মৃত্যুর হার ১০.২ শতাংশ।

>> ফ্রান্স: মৃত্যু ২২ হাজার ২৪৫; আক্রান্ত ১ লাখ ৫৯ হাজার ৯৫২; মৃত্যুর হার ১৩.৯ শতাংশ।

>> যুক্তরাজ্য: মৃত্যু ২০ হাজার ৩১৯; আক্রান্ত ১ লাখ ৪৯ হাজার ৫৫৪; মৃত্যুর হার ১৩.৫ শতাংশ।

>> বেলজিয়াম: মৃত্যু ৬ হাজার ৯১৭; আক্রান্ত ৪৫ হাজার ৩২৫; মৃত্যুর হার ১৫.১ শতাংশ।

>> জার্মানি: মৃত্যু ৫ হাজার ৮০২; আক্রান্ত ১ লাখ ৫৫ হাজার ৪১৮; মৃত্যুর হার ৩.৭ শতাংশ।

>> ইরান: মৃত্যু ৪ হাজার ৬৫০; আক্রান্ত ৮৯ হাজার ৩২৮; মৃত্যুর হার ৬.৩ শতাংশ।

>> চীন: মৃত্যু ৪ হাজার ৬৩৬; আক্রান্ত ৮৩ হাজার ৮৯৯; মৃত্যুর হার ৫.৫ শতাংশ।

দক্ষিণ এশিয়ায় মৃত্যু

>> ভারত: মৃত্যু ৭৮০; আক্রান্ত ২৪ হাজার ৯৪২; মৃত্যুর হার ৩.২ শতাংশ।

>> পাকিস্তান: মৃত্যু: ২৫৬; আক্রান্ত ১২ হাজার ২২৭; মৃত্যুর হার ১.৮ শতাংশ।

>> বাংলাদেশ: মৃত্যু ১৪০; আক্রান্ত ৪ হাজার ৯৯৮; মৃত্যুর হার ২.৮ শতাংশ।

LEAVE A RESPONSE

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!